ঢাকার কেরানীগঞ্জে ধর্ষণের পর নারীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বাবা ও ছেলেকে স্বর্ণালংকারসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকতৃরা হলেন, মো. রিয়াজ ও তার বাবা ফরিদ মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে সালমা ও তার বোন অমৃতপুর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন। কিছুদিন আগে সালমা তার ফ্ল্যাটের একটি রুম রিয়াজ ও তার বাবাকে সাবলেট ভাড়া দেন। গত ২৫ নভেম্বর রাতে সালমাকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে রিয়াজ। এরপর তার মরদেহ ফ্ল্যাটের ভেতরে লুকিয়ে রাখে।
দুদিন পর মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরদেহ আগুন ধরিয়ে দেয় রিয়াজ। এরপর ঘরের বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় রিয়াজ ও তার বাবা ফরিদ মিয়া। ওই ফ্ল্যাট থেকে রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে দরজা ভেঙে সালমার মরদেহ উদ্ধার করে তারা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনা বাদী হয়ে গত ২ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর, তাহেরপুর, জামালগঞ্জ ও ছাতক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফরিদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে সালমার বেশ কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজ হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কামাল