রংপুরে অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে হৃদয়ছোঁয়া ‘পিঠা উৎসব। নিউরো-ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজেবিলিটি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার রংপুর এবং বিশেষ শিশু সহায়তা কেন্দ্র ‘প্রেরণাই শক্তি’-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় শনিবার সকালে রংপুর নগরীর অটিজম হোম প্রাঙ্গণ দেওডোবা ডাঙ্গীরপার এলাকায় একটি ভবনে এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ভাপা, পাটিসাপটা, চিতই, দুধচিতই, নারিকেল পুলি, খাজাসহ নানারকম দেশি পিঠার স্টল শিশুদের আকৃষ্ট করে। শিশুরা পিঠার স্বাদ নিতে নিতে অংশ নেয় আঁকিবুঁকি প্রতিযোগিতা, বেলুন খেলা, রঙ মেশানোর মজার কার্যক্রম, মোটর স্কিল উন্নয়নমূলক খেলাসহ নানাবিধ বিনোদনে।
নিউরো-ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজেবিলিটি ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের কর্মকর্তারা বলেন প্রায় ৬ হাজার রংপুর বিশেষ শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩শ শিশু প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এনডিডিসির কর্মকর্তারা বলেন-বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য শুধু চিকিৎসা বা থেরাপি যথেষ্ট নয়। তাদের হাসতে শেখানো, খেলতে সুযোগ দেওয়া, সমাজের সঙ্গে যুক্ত রাখা-এগুলোই তাদের অগ্রগতির মূল শক্তি।
একজন মা আবেগভরা কণ্ঠে বলেন অনেক জায়গায় আমাদের সন্তানরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। কিন্তু এখানে এসে ও হাসছে, দৌড়াচ্ছে, খেলছে-মনে হয় ওর পৃথিবিটা নতুন করে পেলাম।
প্রধান অতিথি রংপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিল চন্দ্র বর্মন বলেন, “বিশেষ শিশুদের উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এমন উৎসব সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন আর রশিদ বলেন, শিশুর বিকাশ শুধু পরিবার নয়, সমাজের দায়িত্বও বটে। ইতিবাচক পরিবেশ তাদের বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন নিউরো-ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজেবিলিটি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান আয়শা আক্তার।
বিডি প্রতিদিন/এএম