আজ ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক আক্রমণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত হয় পুরো জেলা।
মুক্তিকামী মানুষ লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে উদ্যাপন করে বিজয়ের আনন্দ। তবে ৫৪ বছর পরেও জেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বধ্যভূমি ও গণকবর অবহেলা-অযত্নে পড়ে আছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তথ্য অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের সময় লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক লুটপাট, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা জেলায় ১৯টি সম্মুখযুদ্ধ এবং ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেন।
যুদ্ধে শহীদ হন ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষ। দালাল বাজার-রামগঞ্জ সড়কে ১৭টি বড় যুদ্ধের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা ৬০ থেকে ৭০ জন পাকসেনাকে হত্যা করতে সক্ষম হন। ডিসেম্বরের ২ ও ৩ তারিখে পাকসেনারা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পিছু হটলে মুক্তিযোদ্ধারা মাদাম ব্রিজ উড়িয়ে দেন, এতে দেড় শতাধিক রাজাকার আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। এরপরই ৪ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর পুরোপুরি হানাদারমুক্ত হয়।
এ জেলার বাগবাড়ীর টর্চার সেল, গণকবর, মাদাম ব্রিজ ও বাসুবাজারের গণকবর আজও যুদ্ধের বিভীষিকাময় স্মৃতি বহন করে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, জহিরুল ইসলাম ও খোরশেদ আলম এসব স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ