পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি কেবল একটি রাজনৈতিক সমঝোতা নয়, এটি দেশের সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রেখে শান্তি, সহাবস্থান এবং ন্যায্যতার নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি মহৎ অঙ্গীকার।’ মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি : সম্প্রীতিকে সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী ও সরকারের মধ্যে একটি বোঝাপড়া, যা সবার জন্য একটি ইতিবাচক দিক। দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতময় সমস্যার সমাধান করাই এ চুক্তির প্রক্রিয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যানদের পরিবর্তে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত চেয়ারম্যান দরকার।
বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হন। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদগুলোতে যেসব বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও প্রবিধান তৈরি করা জরুরি। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিধিবিধান সহজীকরণের চেষ্টা চলছে।’