বাসে সিট আছে বলে যাত্রী আলাউদ্দিন ইসলাম টগর (৩৫) ও তার বোন রুমি খাতুনকে (২৮) তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু সিট নেই। তাই তারা নেমে যেতে চান। কিন্তু বাসের সুপারভাইজার নামতে দেবেন না। এনিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে মারাত্মক আহত হয় টগর। পরে টগরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রামেক হাসপাতালে আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টগরের মৃত্যু হয়।
এর আগের দিন রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী নগরীর লিলি হলের বাঁশের আড্ডা এলাকার অদূরে এ ঘটনা ঘটে। টগর ও তার বোন গোদাগাড়ীতে যাবেন বলে বাঁশের আড্ডা থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যে চলাচল করা বাসে উঠেছিল।
নিহত টগর পবা উপজেলার হরিপুরের কুলপাড়ার আবু সাইদের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি কাজ করতেন। বর্তমানে তার লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। আর দুর্ঘটনার পড়ে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী বলেন, বাস থেকে যাত্রী ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের ভাই দুলাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। বাসের চালক ও হেলপার পলাতক আছে। আর বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতের লাশ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।