দ্বিতীয় যাত্রায় ঢাকা থেকে বরিশাল আসার পথে যাত্রী পেলেও। ফিরতি যাত্রায় যাত্রী পায়নি ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী ষ্টিমার পিএস মাহসুদ। শুক্রবার নৌযানটি ঢাকা থেকে ৭৭ যাত্রী নিয়ে সদরঘাট ছাড়ে। এর মধ্যে ৪ জন যাত্রী চাঁদপুর নেমে যায়। ৭৩ যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসে মাহসুদ। শনিবার সকালে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রাপথে মাত্র ১৬ জন যাত্রী পেয়েছে নৌযানটি।
গত ২৮ নভেম্বর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে সপ্তাহে এক দিন ট্যুরিস্ট সার্ভিস দিচ্ছে ঐতিহ্যের প্যাডেল চালিত ষ্টিমার পিএস মাহসুদ।
মাহসুদের ক্লার্ক নিপু জানান, শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ৭৭ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা করেছেন। এই ট্রিপে প্রথম শ্রেণির কেবিনে ২০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনে ১৬ জন এবং চেয়ার সিটে ৩৭ জন এসেছেন।
মাহসুদের ড্রাইভার মো. সোহাগ বলেন, প্রতিটি ট্রিপে বরিশাল থেকে ঢাকা ১০ ঘণ্টা এবং ঢাকা থেকে বরিশাল ৯ ঘণ্টা সময় লেগেছে। আপডাউনে (আসা ও যাওয়া) পিএস মাহসুদের জন্য জ্বালানি তেল দরকার হয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ লিটার। এতে জেনারেটর, মেইন ইঞ্জিনসহ সব কার্যক্রম সচল ছিল। তার হিসেব অনুযায়ী প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১০০ টাকা হলে, আপডাউনে মাহসুদের তেল খরচ হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার। তাঁর মতে, প্রথম ট্রিপে ১ লাখ টাকার কম ভাড়া পেয়েছে স্টিমার মাহসুদ। বাকিটা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বরিশালের ব্যবস্থাপক মো. জসীম উদ্দিন জানান, আমরা আশাবাদী যে স্টিমারে পর্যটক বাড়বে। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ পরিচালনা করলেও এটি ইজারা দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি নৌযানটি পরিচালনা করবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল