বরিশালের বাবুগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, নিরপরাধ ব্যক্তি আসামি হলে প্রতিবেদনে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে।
গত ১৭ নভেম্বর উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলামকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা আগরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কয়েত প্রবাসী মিজানুর রহমান দুলাল বাদী হয়ে নামধারী ২১ ও অজ্ঞাত আরও ৯ জনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার নামধারী ৭ থেকে ১১ নম্বর আসামিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি করেন স্বজনরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তাদের মামলার আসামি করা হয়েছে।
স্বজনদের দাবি, মামলার ৭ নম্বর মো. শফিউল আজম শাহিন ঢাকায় নিজ অফিসে কর্মরত ছিলেন। একইভাবে ঢাকায় ছিলেন বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম লিপন, ৯ নম্বর আসামি মিজানুর রহমান কবিরাজ মাকে টাকা দিতে বাড়িতে এসেছিলেন। মিরপুর বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিলন সরদারও ঢাকায় ছিলেন। ১১ নম্বর আসামি সাইদুর রহমান র্যাব-৮ কার্যালয়ে ছিলেন।
মামলার ৯ নম্বর আসামি মিজানুর রহমান কবিরাজ বলেন, আমি ভোলা থেকে বরিশাল শহর হয়ে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে বাড়িতে গিয়ে মাকে কিছু টাকা দিয়ে আসি। পরে শুনি আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। পারিবারিক শত্রুতায় তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মামলার বাদী রবিউলের বাবা মিজানুর রহমান দুলাল বলেন, তিনি কুয়েত প্রবাসী। ঘটনার সময় স্থানীয়দের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় ২০/২৫ জন ঘটনাস্থলে ছিলেন। ছুরিকাঘাত একজন করলেও অন্যরা সবাই বিষয়টি জানতেন। তারা সাথে না থাকলে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতো না! তাই সবাই অপরাধী। অপরাধী না হলে তারা মামলার তদন্তে অব্যাহতি পাবেন। এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করার কিছু নেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। যারা জড়িত ছিল, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যারা জড়িত ছিলেন না, তারা স্বাভাবিকভাবে অব্যাহতি পাবেন। আমার মূল লক্ষ্য আসামিদের গ্রেফতার করা। এখন সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।
বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু বলেন, ছাত্রদলের একজন নেতা হত্যার শিকার হয়েছেন। তার হত্যাকারীরা শাস্তি পাবে, এটাই চাই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই