বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে ভাড়া নিয়ে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শতাধিক বাস ভাঙচুর, একটিতে অগ্নিসংযোগ, আড়াইশ কাউন্টার ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে রাত ৯টার দিকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিএম কলেজের শিক্ষার্থী বরিশালে আসার পথে শিক্ষার্থী পরিচয়ে অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে শ্রমিকরা তা নিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
বিএম কলেজ অধ্যক্ষ শেখ তাজুল ইসলাম বলেন, এখানে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। হাফ ভাড়াকে কেন্দ্র এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। সেই ঘটনা তার বন্ধুরা জানতে এসেছে। তাদের উপরও আক্রমণ করা হয়েছে। বিএম কলেজের ছাত্ররা সংগঠিত হয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে এখানে এসেছে। আমি ওদের কথা দিয়েছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালের সকল প্রশাসন বাস মালিক সমিতি নিয়ে সুরাহা করা হবে।
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, বাসের ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে তর্ক-বির্তক হয়। ঘটনার সাথে সাথে আমাদের এক অফিসার রেসপন্স করেছে। ছাত্র ও শ্রমিকদের নিয়ে সমাধানের একটি পথে যাচ্ছিল। উত্তেজনাকর একটি কথার কারণে সমাধান হয়নি। আস্তে আস্তে ঘটনার বিস্তার লাভ করেছে। কতটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব এখনো করতে পারিনি।
বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারেফ হোসেন বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আড়াই ঘণ্টা নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। টার্মিনালে সকল বাস ভাঙচুর করেছে। কাউন্টার ভাঙচুর করেছে। টাকা-পয়সা লুট করেছে। ছাত্ররা নাকি কারা ছিলেন, এখন পর্যন্ত বলতে পারি না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই