প্রথম টেস্টে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে মাত্র দুই দিনেই হেরেছিল ইংল্যান্ড। তবে ব্রিসবেন টেস্টেও এসে ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না ইংলিশরা। স্বাগতিকদের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে সফরকারীরা। এই জয়ে অ্যাশেজে ২-০তে এগিয়ে গেলো অজিরা।
এদিন জয়ের জন্য মাত্র ৬৫ রানের লক্ষ্য ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারালেও রাজকীয় ভঙ্গিতেই জয় এনে দিলেন স্টিভেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের গতিময় পেসার জোফরা আর্চারের বল গ্যালারিতে উড়িয়ে মারার পরের ওভারে গাস অ্যাটকিনসনের বলেও হাঁকালেন ছক্কা। তাতে নিশ্চিত হয়ে গেল অজিদের জয়।
রবিবারের (৭ ডিসেম্বর) জয়ে এবারের অ্যাশেজ জয়ও অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেল স্টিভেন স্মিথদের। কারণ টেস্ট ইতিহাসের মাত্র একটি দলই পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর সিরিজ হেরেছে। সেটি ইংল্যান্ড। ১৯৩৬–৩৭ মৌসুমের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ায় বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পরও ৩–২ ব্যবধানে হেরে যায় ইংলিশরা।
এ আগে ব্রিসবেন টেস্টের তৃতীয় দিনেই জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। ১৫৭ রানের লিডে চাপা পড়ে ১৩৪ রানেই ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে চতুর্থ দিন সকালে ব্যাট হাতে বেশ দৃঢ়তা দেখান বেন স্টোকস ও উইল জ্যাকস। নিজেদের চিরাচরিত বাজবল বাদ দিয়ে ধীরে খেলতে থাকেন তারা।
তবে মাইকেল নেসারের বলে অ্যালেক্স ক্যারি ও স্টিভেন স্মিথের দুর্দান্ত দুই ক্যাচে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই দুজন। স্টোকস ১৫২ বলে ৫০ ও জ্যাকস ৯২ বলে ৪১ রান করেন। শেষদিকে আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় ২৪১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। তাতে অজিদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৬৫ রানের।
ব্রিসবেন টেস্টে ঘরের মাঠে টানা ৬৯ টেস্ট খেলা নাথান লায়নকে বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছিল মাইকেল নেসারকে। সেটি নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন নেসার। প্রথম ইনিংসে একটির বেশি উইকেট নিতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট পান তিনি। যদিও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মিচেল স্টার্ক। পার্থেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৭৭ রানও করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কামাল