প্রথম ব্রাজিলিয়ান ক্লাব হিসেবে চতুর্থবারের মতো দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতা কোপা লিবের্তাদোরেসের শিরোপা জিতল ফ্ল্যামেঙ্গো। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পালমেইরাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে এই শিরোপার স্বাদ পেল তারা।
ম্যাজের আগের দিন খালাকে হারিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা দানিলো। সেই শোক নিয়েই মাঠে নেমেছিল এই তারকা। তবে শোককে শক্তিতেই পরিণত করলেন তিনি। গোল দিয়ে দলকে শিরোপা জিতিয়ে হয়ে গেলেন ইতিহাসের অংশ।
এই জয়ের ফলে ২০২১ সালের ফাইনালে পালমেইরাসের কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল ফ্ল্যামেঙ্গো। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন দানিলো। এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। জর্জিয়ান দে আরাস্কায়েতার কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি ও জুভেন্টাসের এই তারকা।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাত্র দুই মিনিট আগে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল পালমেইরাস। কিন্তু ভিতোর রোকু একদম কাছ থেকে বল বারের ওপর দিয়ে মারলে হতাশায় ডুবতে হয় তাদের। অন্যদিকে, ইনজুরি টাইমে এভারটনের নিচু ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে না এলে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত ফ্লামেঙ্গো।
এই জয়ের মাধ্যমে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন কোচ ফিলিপে লুইস। খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৯ ও ২০২২ সালে শিরোপা জেতার পর এবার কোচ হিসেবেও ট্রফিটি জিতলেন তিনি। ইতিহাসের নবম ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড় ও কোচ উভয় ভূমিকায় কোপা লিবের্তাদোরেস জয়ের কীর্তি গড়লেন লুইস।
গত সাত মৌসুমের মধ্যে পাঁচবারই এই টুর্নামেন্টের শিরোপা গেছে হয় পালমেইরাস নয়তো ফ্ল্যামেঙ্গোর ঘরে।
ম্যাচ শেষে পরিবারকে গোল উৎসর্গ করে দানিলো বলেস, সবাই জানে আমি ফ্ল্যামেঙ্গোর সমর্থক এবং আমি (ইউরোপ থেকে) ফিরে এসে এই ক্লাবের হয়ে খেলতে কতটা মুখিয়ে ছিলাম। এই জয়টা বিশেষ। আমার খালা গতকাল মারা গেছেন। আমার বাবাকে সেখানে ফিরে যেতে হয়েছে। তিনিও ফ্ল্যামেঙ্গো সমর্থক। আমি এই জয়টা তাকে এবং আমার পুরো পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই।
বিডি প্রতিদিন/কামাল