ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে জিততে হবে এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ ওভারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৬ রানে জিতেছে লঙ্কানরা।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাথুম নিসাঙ্কা ৮ রানে ফিরে যান। পরে কামিল মিশরা ও কুশল মেন্ডিস মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ২৩ বলে ৪০ রান করে আবরার আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মেন্ডিস।
এরপর ৬ রান করে কুশল পেরেরা ফিরলেও মিশরা ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১৭তম ওভারে আবরার আহমেদের বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৭৬ রান করেন মিশরা—ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা।
শেষদিকে জানিথ লিয়ানাগের ২৪ বলে ২৪ এবং দাসুন সানাকার ১০ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৯ রানে সাহিবজাদা ফারহানকে হারায় পাকিস্তান। একই ওভারে শূন্য রানে ফিরেন বাবর আজম। পরের ওভারে ১৮ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সাইম আয়ুব। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফখর জামান আউট হলে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
পঞ্চম উইকেটে সালমান আলি আগা ও উসমান খান মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। উসমান ২৩ বলে ৩৩ রান করে ফিরে গেলেও আগা ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাদের জুটিতে জয়ের আশা দেখে পাকিস্তান।
শেষ ৭ ওভারে ৮২ রানের প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। তবে ১৮তম ওভারে ১৬ বলে ২৭ রান করে নওয়াজ ফেরার পর ম্যাচে ফিরে আসে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৬ রানের জয় নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নেয় লঙ্কানরা। আগামীকাল শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে ফাইনালে আবার মুখোমুখি হবে দুই দল।
বিডি প্রতিদিন/কামাল