ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ধারণা করা হচ্ছিল সহজ জয় পাবে নিউজিল্যান্ড। কেননা ৫৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করা টেস্টে দুরূহ ব্যাপার। কিন্তু শেষ দিনে ক্রিকেটের এমন অঙ্ককে পাল্টে দিলেন ক্যারিবিয়ান জাস্টিন গ্রিভস। উইকেটে মাটি কামড়ে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করলেন টেস্ট ক্রিকেট শুধু রান তাড়া নয়, ধৈর্য আর ইচ্ছাশক্তির যুদ্ধও। শেষ পর্যন্ত শাই হোপ ও কেমার রোচকে নিয়ে গ্রিভসের অবিশ্বাস্য ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচে ফল না এলেও লড়াইটা যে স্মরণীয় হয়ে রইল, সেটাই হয়তো এ টেস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। গ্রিভস ৩৮৮ বলে ২০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন। টেস্টের শেষ দিনে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস সাজান ১৯ চারে। গ্রিভস টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা সপ্তম ব্যাটার, চতুর্থ ক্যারিবিয়ান।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া ক্যারিবীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল। অনেকের কাছেই নিউজিল্যান্ডের জয় তখন সময়ের ব্যাপার ছিল। তবে পঞ্চম দিন দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। পঞ্চম উইকেটে ১৯৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। ১৪০ রানে হোপ ফিরলেও ২০২ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রিভস। ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ৬৮.১ ওভার কোনো উইকেট হারায়নি তারা। যেখানে গ্রিভসের সঙ্গে বড় ভূমিকা রাখেন কেমার রোচ। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া এ ব্যাটার ২৩৩ বলে খেলেন অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস। ১৬৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৫৭ রান করলে প্রথম টেস্ট ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড। ২০০২ সালে ক্রাইস্টচার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৫১ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড
প্রথম ইনিংস : ২৩১
দ্বিতীয় ইনিংস : ৪৬৬/৮ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম ইনিংস : ১৬৭
দ্বিতীয় ইনিংস : ৪৫৭/৬, ১৬৩.৩ ওভারে
ফল
ড্র
ম্যাচসেরা
জাস্টিন গ্রিভস