কক্সবাজার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের বিপক্ষে ১৩ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ নারী অনূর্ধ্ব-১৯। সিরিজে পিছিয়ে থেকে গতকাল খেলতে নামে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ। আগামীকাল একই ভেন্যুতে টি-২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। স্বাগতিকদের সিরিজে সমতা আনেন মিডিয়াম পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে সফরকারী পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ৮০ রান করে। পিংকি ৪ ওভারের স্পেলে ১৭ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। ৮১ রানের টার্গেটে স্বাগতিকরা টপকে যায় ৬ বল হাতে রেখে।
টস জিতে পাকিস্তান ব্যাটিং করে। একপর্যায়ে সফরকারীদের স্কোর ছিল ১৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৬। দ্বিতীয় স্পেলে পিংকি বোলিংয়ে আসার পর রান স্কোরিং থমকে যায় পাকিস্তানের। ২০ ওভারে ৮০ রানের বেশি তুলতে পারেনি। বিশেষ করে পিংকির আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে রান তোলার গতি থমকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। সেখান থেকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার কমল খান ৪২ বলে ২ চারে ২৮ রান করে দলের মান বাঁচান। ওপেনার রাভেইল ফারহান ১৫ রান করেন ৩১ বলে। জফিসান আয়াজ ২৭ বলে ১৭ রান করেন। পাকিস্তানের ৩ ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি। স্বাগতিকদের পক্ষে পিংকি ছাড়া অতসী মজুমদার ও জারিন তাসনিম একটি করে উইকেট নেন। টার্গেট ৮১ রান। প্রতিপক্ষের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে। একপর্যায়ে ১০.১ ওভারে ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ওপেনার সুমাইয়া আক্তার ও ফারজানা ইয়াসমিন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২৭ রান যোগ করে দলের বিপর্যয় রোধ করেন। ফারজানা ১০ রান করেন। ২ বল পরে আউট হন সুমাইয়া। দল আবার বিপদে পড়ে। সেখান থেকে সাদিয়া আক্তার ১০ বলে ২ চারে ১৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে ১৯ ওভারে জয় উপহার দেন। সুমাইয়া ৩২ রান করেন ৩৮ বলে ১ চারে।