রাঁচির পর রায়পুরে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি। রাঁচিতে ছিল ৫২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। রায়পুরে খেললেন সেঞ্চুরি নম্বর ‘ফিফটি থ্রি’ বা ৫৩ নম্বর সেঞ্চুরি। কিন্তু এ সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দিয়ে চার উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরিসহ দুই হাফসেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে প্রোটিয়ারা।
গতকাল ভারতের দেওয়া ৩৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম সেঞ্চুরি করেছেন। এটি তার ক্যারিয়ারের চার নম্বর সেঞ্চুরি। এ ওপেনার ৮৮ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। তবে আরেক ওপেনার ডি কককে ১১ বলে ২ চারে ৮ রানে সাজঘরে ফিরতে হয়। এর পরের তিন ব্যাটারের দারুণ ইনিংসে জয় সহজ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক বাভুমা ৪৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। পরে ম্যাথিউ ব্রিটজ ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। ব্রিটজ ৬৪ বলে ৫ চারে করেন ৬৮ রান। ব্রেভিস খেলেন ৫৪ রানে ইনিংস। ৩৪ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। এতে সহজেই ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে গতকাল টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। দুই ওপেনার খুব একটা ভালো করতে পারেননি। রোহিত শর্মা ২২ ও জয়সওয়াল ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরে কোহলি ও গায়কোয়াদ দুটি সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। কোহলি সেঞ্চুরি করেন ৯০ বলে ২ ছক্কা ও ৭ চারে। আউট হন ৯৩ বলে ১০২ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটা টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে কলকাতায় ১০১ রান করেছিলেন। এবার রাঁচিতে ১৩৫ ও রায়পুরে ১০২ রান করেন। এ সেঞ্চরিতে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে চার নম্বর ব্যাটার কোহলি। ৫৪ বছরের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার কোহলি, যিনি ৫০টির ওপর সেঞ্চুরি করেছেন। ৩০৭ ম্যাচে কোহলির সেঞ্চুরি সংখ্যা এখন ৫৩। দুই নম্বরে থাকা শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি ৪৯। কোহলির ৫৩ সেঞ্চুরির দিনে গায়কোয়াদ তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। ১০৫ রানের ইনিংসটি খেলেন ৮৩ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায়। অধিনায়ক লোকেশ রাউল ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৪৩ বলে। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভারতের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৮ রান।