খসড়া তালিকায় ছিল তাদের নাম। চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শফিউল ইসলাম, সানজামুল হকসহ আরও সাত ক্রিকেটার। তাদের বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। বিপিএলের ১২তম আসরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে বিসিবি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় দলে খেলা ৪ ক্রিকেটারসহ অভিযোগে দুষ্ট মোট সাত ক্রিকেটারকে বাদ রাখা হয়েছে। বাকি তিন ক্রিকেটার-আলাউদ্দিন বাবু, নিহাদ উদ জামান ও মিজানুর রহমান। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আগেই জানিয়েছি, যদি কোনো কোনো ক্রিকেটার, কর্মকর্তা, কোচ কিংবা অন্য কারও বিপক্ষে অভিযোগ থাকে, তাহলে তাকে দলভুক্ত করতে পারবে না।’ অভিযুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা ছিল নয়জন। কিন্তু সাত ক্রিকেটারের নাম আসায় নিলামে বাদ পড়েছেন দুজন। সাত ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ায় কী প্রমাণিত হয়েছে, এরা ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত? বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বিষয়টি সেভাবে দেখছেন না, ‘আমরা সেটা বলছি না। সন্দেহজনক বলেই বাদ দেওয়া হয়েছে।’
বিপিএলের নিলাম আজ। নিলামের একটি ড্রেস রিহার্সেল গতকাল করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। রিহার্সেলে বিপিএলের ৬ দলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে কর্মকর্তাদের একটি তালিকা চেয়েছিল বিসিবি। পরামর্শ ছিল কোনো কর্মকর্র্তাদের বিপক্ষে যেন কোনো ধরনের অভিযোগ না থাকে। অভিযোগ থাকলে সেসব কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের অ্যাক্রিডিটেশন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিসিবি। বিপিএলের গত আসরে ফিক্সিং নিয়ে অভিযোগ ছিল অনেক। ফিক্সিং তদন্তের জন্য অ্যালেক্স মার্শালকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে বিসিবি। কমিটি স্বাধীনভাবে তদন্ত করেছে।
বিপিএলের ১২তম আসরের নিলাম আজ। শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিপিএলের এবারের আসরের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্থানীয় ক্রিকেটার মাত্র দুজন লিটন দাস ও নাইম শেখ। ভিত্তি মূল্য ৫০ লাখ টাকা। ৩৫ লাখ টাকার ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, শরিফুল ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, পারভেজ ইমন, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, খালেদ আহমেদ, ইয়াসির আলী, মাহিদুল অঙ্কন ও জাকের আলী অনিক। ২২ লাখ টাকার ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১৭ ক্রিকেটার। ক্যাটাগরি ‘ডি’-র ভিত্তিমূল্য ১৮ লাখ টাকা। ক্রিকেটারের সংখ্যা ২৬ জন। ১৪ লাখ টাকার ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটার ৩৯ জন ও ১১ লাখ টাকার ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটার সংখ্যা ৬৩ জন। প্রত্যেক দলকে বাধ্যতামূলকভাবে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে দুজন ক্রিকেটারকে দলে নিতে হবে। ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত ছয়জন, ‘ই’ ক্যাটাগরি থেকে তিনজন এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরি থেকে দলভুক্ত করতে হবে একজন খেলোয়াড়।