চলতি বছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দল। ইউরোপ জয়ের পর পর্তুগিজ ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করেছে যুবারা। এবার প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। অথচ এখন পর্যন্ত ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে পারেনি পর্তুগাল। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। ১৯৬৬ সালে তৃতীয় ও ২০০৬ সালে চতুর্থ স্থান অর্জন পর্তুগালের বিশ্বকাপ সাফল্য। তবে যুবারা লিখল নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের ইতিহাস। বৃহস্পতিবার কাতারের দোহাতে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় পর্তুগাল ও অস্ট্রিয়া। দুই দলেরই লক্ষ্য প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জেতা। কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে লড়াইয়ে ১-০ গোলে জিতে ইতিহাস গড়েছে পর্তুগাল।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩২ মিনিটে আনিসিও কাব্রালের গোলে লিড নেয় পর্তুগাল। কুনহার পাস থেকে অস্ট্রিয়ার জালে বল জড়ান টুর্নামেন্টে ৭ গোল করা এ তরুণ ফরোয়ার্ড। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধেও অস্ট্রিয়া সমতায় ফিরতে পারেনি। বল দখলে ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত এক গোলের পুঁজিতেই জিতে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। জয়ের পরপরই পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন আল নাসর তারকা। খেলোয়াড়দের গ্রাফিক্স করা ছবির নিচে লেখেন, ‘জায়ান্টস! অভিনন্দন, বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা!’
এবারের আসর দুই দলের জন্যই ছিল প্রথম ফাইনাল। ১৯৯৯ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করা পর্তুগিজরা এবার শিরোপা জিততে মরিয়া ছিল। তারা সেমিফাইনালে শক্তিশালী ব্রাজিলের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুটআউটে জয় নিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে মাত্র তৃতীয়বার অংশ নিয়েই ফাইনালে উঠে আসে অস্ট্রিয়া। তারা সেমিফাইনালে ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল।