অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। আট খণ্ডের এ প্রতিবেদনে রয়েছে- কমিশনের সুপারিশ, জুলাই জাতীয় সনদ, রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর মতামত, আলোচনার সারসংক্ষেপ, বিভিন্ন নথিপত্র এবং কমিশনের করা জনমত জরিপের ফলাফল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সরকারের সংস্কারবিষয়ক ওয়েবসাইটে (reform.gov.bd)। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাশাপাশি আগে ও পরে গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও একই ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। প্রথম ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম শেষের দিকে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় ওই দুই কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর পর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা চলে। এর ধারাবাহিকতায় ৩১ জুলাই চূড়ান্ত করা হয় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫, যা পরে ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অনুমোদিত হয়।
ইতোমধ্যেই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ’ জারি করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল