কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে কৃষি কর্মকর্তাদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, গতকাল হঠাৎ পিঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তাও কম না; চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ টাকার মতো দাম বেড়ে গেছে। এ কারসাজি যারা করছেন, সেই চক্রটিকে খুঁজে বের করতে হবে। অনেকেই পিঁয়াজ আমদানি করতে পাগল হয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ প্রায় উঠানো হয়ে গেছে। মুড়িঘাটা পিঁয়াজও উঠানো শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে পিঁয়াজের কোনো সংকটও নেই। বাজারে প্রচুর পিঁয়াজ আছে। কিন্তু দাম বেড়ে গেছে। ভোক্তাদের কষ্ট পেতে হচ্ছে।
হঠাৎ পিঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমদানি করার পর দেখবেন দাম কমে যাবে। আজই দাম কমা শুরু হয়েছে। আবার বেশি কমা শুরু করলে কৃষকরা লুজার (লোকসান) হবেন, আমদানিকারকরা লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, পিঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতেই আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে কৃষি কর্মকর্তাদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসপিদের মতো কৃষি কর্মকর্তাদেরও লটারিতে বদলি করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই তো আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। আমার তো দুই দিকে খেয়াল রাখতে হবে, কৃষকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে, আবার ভোক্তাক্তাদের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পিঁয়াজের দাম যদি ৭০ টাকার মধ্যে থাকে, তাহলে দুই দিকেই সুবিধা।
আলুচাষিরা খুবই ভোগান্তি পেয়েছে জানিয়ে তাদের ভর্তুকি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আলু রপ্তানি হয়। কিন্তু আলুর মান ভালো না। কাজেই যে আলুতে চিপস হয়, সেটা আমাদের এখানে কম উৎপাদন হয়। কাজেই এখন গবেষণা করে আলুর জাত উন্নত করতে হবে।
সবজিবর দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, দিন যত যাবে, দাম কমতে থাকবে। আশা করছি, এমন যাতে না কমে, যাতে কৃষকদের লোকসান হয়। কৃষকরা যাতে লোকসানে না পড়েন, এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মুলা, কপি যাতে গরুকে খাওয়াতে না হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই