বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে রবিবার জামায়াতে ইসলামীর তরফে দেওয়া বিবৃতির এক হাত নিয়েছে দলটি। এনসিপি এই বিবৃতিকে ‘বাস্তবতাবিবর্জিত, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট অপচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে। গতকাল এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ৬ ডিসেম্বর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্স (এনপিএ)-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রমাণ-নির্ভর যে মন্তব্য করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ তথ্যসম্মত ও দায়িত্বশীল। এনসিপি সেই মন্তব্যের পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ তুলে ধরে জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী থানায় নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি চালানো তুষার মণ্ডল জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত করেছে এবং তাকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে। এনসিপি মনে করে, এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করা কেবলই সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর নিন্দনীয় অপচেষ্টা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এনসিপি মনে করে যে জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে যে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা হয়েছে, তাকে গ্রহণ না করে জামায়াত পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য একটি অশুভ সংকেত।
সহিংসতা, অস্ত্র নির্ভরতা ও ধর্মের অপব্যবহার কখনোই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।