মোবাইল ফোনসেট ব্যবসায়ীদের দাবি নিয়ে আজ বেলা ১১টায় এনবিআর, বিটিআরসি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানেই আসবে সিদ্ধান্ত। রবিবার আন্দোলনে দিনভর অবরুদ্ধ ছিল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়। তাঁদের দাবি ফোনসেট আমদানিতে ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত অস্বাভাবিক শুল্ক প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ, এনইআইআর পুনর্বিবেচনা, যৌক্তিক ট্যাক্স কাঠামো পুনর্নির্ধারণ ও মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা। ব্যবসায়ীরা বলেন, অবৈধ মোবাইল ফোনসেট বন্ধ করার নামে একটি নির্দিষ্ট প্রভাবশালী গোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে চাচ্ছে বিটিআরসি। এর আগে কয়েকবার আন্দোলন করেছি, সরকারকে বলেছি কিন্তু কর্ণপাত করেনি। আমরাই দেশের ৬০ শতাংশ মোবাইল ফোন সরবরাহ করছি। এই খাতের সঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। অথচ একটি সিন্ডিকেটের কারণে এনইআইআর করতে চাচ্ছে সরকার। সেটা করা হলে মাত্র ৯টি কোম্পানি পুরো মার্কেট চালাবে। ফোনসেটের দাম যেমন বাড়বে, তেমনি জীবিকা হারাবেন লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও কর্মচারী। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম বলেন, সরকার যে ট্যাক্স-কাঠামো চালু করেছে, তাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধ করতে ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই ব্যবস্থার বাস্তবায়নের ঠিক আগেই ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আন্দোলনে নেমেছেন।
এনইআইআর নিয়ে অপতথ্য যাচাইয়ের আহ্বান এমআইওবির : এনইআইআর বাস্তবায়ন না হলে দেশের রপ্তানিমুখী মোবাইল ফোন খাতের অপমৃত্য ঘটবে। আর বাস্তবায়ন হলে দাম বাড়বে না বলে ফের কথা দিয়েছেন স্থানীয় উৎপাদকেরা। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বাজারে চালু ‘অপতথ্য’ যাচাইয়ে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল ইসলাম মিলনায়তনে মোবাইলফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। তারা জানান, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে দেশে উৎপাদন বাড়বে, দাম কমবে। অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন ডিস্ট্রিবিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এমআইওবি সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, শিগগিরই ২০১৯ সালে ৫৭ শতাংশ ভ্যাট কমাতে সরকার কাজ করছে। ‘স্থানীয় উৎপাদকদের সুরক্ষায় কর কাঠামো উৎপাদন ও আমদানিতে এক হয় না’ উল্লেখ করে এমআইওবি সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, ভোক্তা সুরক্ষা ও চোরাই মোবাইলের মাধ্যমে অপরাধ কমাতে এনইআইআর এর ফলে কোনো প্রবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভিভো বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইমাম উদ্দীন, স্যামসাং ফোন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এক্সেল টেলিকমের সেলস হেড মো সাইফুদ্দিন টিপু প্রমুখ।