গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উপকূলে শনিবার আংশিক ভেঙে পড়া একটি নৌকা থেকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির উপকূল রক্ষীবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ক্রিট থেকে প্রায় ২৬ নটিক্যাল মাইল (৪৮ কিমি) দক্ষিণ-পশ্চিমে। নিহতরা সবাই পুরুষ ও তরুণ। তারা কোন দেশের, তা জানা যায়নি। বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে নৌকা অস্থির হয়ে পড়ে। তাদের কাছে খাবার বা পানির ব্যবস্থা ছিল না। একটি তুর্কি পণ্যবাহী জাহাজ নৌকাটি পানিতে ভাসতে দেখে কর্তৃপক্ষকে জরুরি বার্তা পাঠায়। গ্রিক কোস্টগার্ড দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠায়। ইউরোপীয় সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স বিমান, নৌকা ও হেলিকপ্টার দিয়ে সহায়তা করেছে।
গ্রিক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইআরটি জানিয়েছে, মৃত্যু পানিশূন্যতার কারণে হতে পারে। নৌকাটির উৎস, মৃতদের জাতীয়তা, কিংবা কতজন যাত্রী ছিলেন- এসব তথ্য এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটি উত্তর আফ্রিকার কোনো উপকূল থেকে ইউরোপে প্রবেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। উদ্ধার অভিযান শেষে কোস্টগার্ড জানায়, আর কোনো নিখোঁজ ব্যক্তি নেই বলে মনে হচ্ছে। লাশগুলো ইয়েরাপেত্রা বন্দরে নেওয়া হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
ক্রিটের ইয়েরাপেত্রা বন্দরনগরের মেয়র মানোলিস ফ্রাঙ্গৌলিস জানিয়েছেন, সব মৃত ব্যক্তি তরুণ। নৌকার দুই পাশ ফাটা থাকায় যাত্রীরা ছোট জায়গায় গাদাগাদি অবস্থায় আটকে ছিলেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, বছরের শুরু থেকে ১৬ হাজার ৭৭০-এর বেশি অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থী পূর্ব ভূমধ্যসাগরের ক্রিট দ্বীপে পৌঁছেছে। গত জুলাইয়ে গ্রিসের রক্ষণশীল সরকার লিবিয়া থেকে ক্রিটে আসা অভিবাসীদের জন্য আশ্রয় শুনানি স্থগিত করেছে। ২০১১ সালের ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর লিবিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।