যশোরের কেশবপুর পৌর যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালিউর রহমান উজ্জ্বল (৩৭) শুক্রবার দিবাগত রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আরও তিনজনের সঙ্গে তিনিও কেশবপুর থেকে আটক হয়েছিলেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরে তিনটি মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টা-১০টার দিকে উজ্জ্বলসহ চারজনকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় কারাগারে নেওয়া হয়। উজ্জ্বলের মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। সে কারণে তাকে কারাগারের হাসপাতাল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়’। তিনি বলেন, ‘আটক চারজন জানিয়েছিল যে, বাইরে তাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। উজ্জ্বল ‘পাবলিক অ্যাসাল্ট’ ছিলেন’।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে কারারক্ষীরা মৃত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে আনেন। পরে তাকে ‘বহনকৃত মৃত’ উল্লেখ করে লাশ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের বড় ভাই আফজাল হোসেন বাবু অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তার ভাইকে বাড়ি থেকে সুস্থ অবস্থায় আটক করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তখন তার কাছে অস্ত্র, মাদক কিছুই ছিল না। তিনি এ ঘটনার বিচার চেয়ে বলেন, তার ভাইকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে, কোনো চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল এলাকার বাসিন্দা ওয়ালিউর রহমান উজ্জ্বল বছরখানেক আগে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হন। তার বড় ভাই আফজাল হোসেন বাবুও পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তিনিও দল থেকে বহিষ্কৃত হন। সম্প্রতি তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘তার (উজ্জ্বল) বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া তো ছিলই। আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিবাদী জমানার মতো এখনো কেন ‘হেফাজতে’ একজনকে মারা যেতে হবে।’