নির্বাচনি জোট গঠনের অংশ হিসেবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, জনতা পার্টি বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন, মহাসচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওহেদ ফারুক, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের একাংশের চেয়ারম্যান জুবায়দা কাদের চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী মনি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ স্বাধীন জোটের চেয়ারম্যান মির্জা আজম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী,
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি চৌধুরী প্রমুখ মতবিনিময়ে অংশ নেন। এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশের সুস্থ ধারার রাজনীতি বিকশিত করতে যেসব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উদার গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী তাদের সঙ্গে একটি বৃহত্তর জোট গঠন করাই আমাদের লক্ষ্য। আগামী ৮ তারিখে জোটের আত্মপ্রকাশ হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করি। আমরা দেশের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’
লাঙ্গলের জন্য আদালতে আনিস-হাওলাদার : নিজেদের প্রকৃত জাতীয় পার্টি দাবি করে হাই কোর্টে রিট করেছে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন অংশ। জাপার লাঙ্গল প্রতীক পেতেও আবেদন করা হয়েছে। এ রিট মামলায় গত সোমবার হাই কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, কেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির কাউন্সিলকে বৈধতা দেওয়া হবে না। কেন তাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে লাঙ্গল প্রতীক দেওয়া হবে না।
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘নিয়মনীতি ও গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে আমরা কাউন্সিল সম্পন্ন করেছি। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ায়, ন্যায়বিচারের স্বার্থে হাই কোর্টে গিয়েছিলাম। আদালত আমাদের আবেদনে রুল জারি করেছেন। আমরা আশা করি ন্যায়বিচার বঞ্চিত হব না।’