রাজধানীর বাজারে সরবরাহ বাড়ায় শীতের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সবজির দামে উত্তাপ কমায় স্বস্তি ফিরছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তবে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পিঁয়াজের দাম আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে হঠাৎ করে ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ায় বেশ চাপে আছেন ভোক্তারা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৫-১০ টাকা।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরবরাহ সংকটের কারণেই পুরোনো পিঁয়াজের দাম বাড়তি। উৎপাদক পর্যায়ে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় তাদের কিছু করার নেই। শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।
গতকাল মিরপুর-৬ কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে গত সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দাম কমেছে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। কাঁচা মরিচের দামও কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। বাজারে শীতকালীন সবজি শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। বাজারে দুই ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে সবুজ শিম থেকে রঙিন শিম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ছোট ফুলকপি পিস ৩০, মাঝারি ও বড় ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টম্যাটোর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে কমেছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। এখন কেজিতে ৭০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি গোলবেগুন ৬০-৭০ ও লম্বা বেগুন ৪০-৫০, পটোল ৪০, করলা ৬০, ঝিঙ্গে ৪০, ধুন্দল ৫০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে মুলা প্রতি কেজি ২০-৩০, বাঁধাকপি ৩০ ও লাউ ৭০-৮০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ৬০-৭০, আলু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। পেঁপে ৩০-৪০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, দেশি শসা ৫০-৬০ ও হাইব্রিড শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মানভেদে পিঁয়াজ এখনো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। তবে পাতাসহ আসা পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০-৭০ টাকা। জানা গেছে, পিঁয়াজের দামের এমন ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে সেই উদ্যোগ আর বাস্তবায়িত হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের দাবি, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষে নতুন উৎপাদিত দেশি পিঁয়াজ বাজারে আসবে। দেশের কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায়, তাই কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পিঁয়াজ আমদানি করতে দেওয়া হচ্ছে না। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাস আগের তুলনায় দেশি পিঁয়াজের দাম এখন ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেশি।
এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৭৮০ এবং খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম আগের মতোই। বাজারে মানভেদে রুই ২৫০-৩৫০ টাকায় কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া কাতলা ৩৫০, পাঙাশ ১৫০-২০০, তেলাপিয়া ১৬০-২০০, চিংড়ি ৬৫০-৭০০, মাঝারি কই ২৮০-৩০০, দেশি শিং ৬৫০-৭৫০, শোল ৬৫০, সুরমা ৩০০, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।