ব্যবসায়ীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছেন বলে মনে করে সরকার। তাই সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে উল্টো ৫ টাকা কমানোর নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রেক্ষাপটে গতকাল বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে দেশের শীর্ষ ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে লিটারে ৫ টাকা করে দাম কমানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও ব্যবসায়ীরা তা প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন করে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে সামান্য ওঠানামা থাকলেও দেশে পর্যাপ্ত মজুত, সাম্প্রতিক সময়ে কম দামে আমদানি ও স্থিতিশীল সরবরাহ বিবেচনায় দাম কমানোর সব যুক্তিই বিদ্যমান। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, মন্ত্রণালয় সম্প্রতি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে যে দামে ভোজ্য তেল সংগ্রহ করেছে, তা বাজারদরের চেয়ে তুলনামূলক কম। ফলে মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বৈঠকে পাল্টা যুক্তি দিয়ে জানান, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সম্ভাব্য বাড়তি খরচ বিবেচনায় দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই। তারা স্পষ্ট বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাম কমানো সম্ভব নয়। বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, সরকারের অনুরোধ তারা ‘সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ’ করলেও মূল্যহ্রাসের প্রস্তাব বিবেচনার পর্যায়ে নেই। তবে আলোচনা অব্যাহত রাখতে তারা পরবর্তী বৈঠকে অংশ নেবেন। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিতিশীলতা রোধে সরকার আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। আগামী রবিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুনরায় বৈঠক ডাকা হয়েছে, যেখানে বাজার নিয়ন্ত্রণ, মূল্যসীমা প্রয়োগ ও আইনি ব্যবস্থা সবই আলোচনায় আসতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভোক্তা বাজারে উদ্বেগ : সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভোজ্য তেলের দাম বারবার বাড়ায় সাধারণ ভোক্তারা অতিরিক্ত চাপে পড়েছেন। পরিবারের ব্যয় বাড়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। রবিবারের বৈঠকে কোনো সমাধান না এলে বাজারে নতুন করে মূল্য অস্থিরতার শঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বোতলের সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ছয় টাকা এবং খোলা তেল আট টাকা করে বাড়ানোর ঘোষণা আসে। তার এক দিন আগে খুচরা বাজারে বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ থেকে বেড়ে ১৯৮ টাকা হয়ে যায়। খোলা তেলের লিটারে বাড়ে ৫ টাকা। কিন্তু সরকারের তরফে সেই সিদ্ধান্তে সায় মেলেনি। সরকারকে না জানিয়েই আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়েছে বলে দাবি করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা