পুলিশকে জনবান্ধব ও সব ধরনের প্রভাবমুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত হবে পাঁচ সদস্যের কমিশন। এ কমিশন নাগরিকের অভিযোগ তদন্ত ও নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশিং কার্যক্রমের উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব ও জনমুখী করা হবে। কমিশন সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। পুলিশ যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে, সেজন্য কী কী করণীয়, সে বিষয়ে কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পুলিশ যাতে মানবাধিকার সংবেদনশীল হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার, সেগুলোও কমিশন চিহ্নিত করবে। পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করবে। পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোও নিষ্পত্তি করবে। সর্বোপরি পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা এবং উৎকর্ষ আনা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠাতায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান হবে এ কমিশনের প্রধান কাজ।
কমিশন সদস্যদের নাম প্রস্তাবের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।