জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়া থানার সামনে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে ছয় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. জানে আলম খানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলায় প্রসিকিউশনের ২৪তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি প্রদান শুরু করেন তিনি। পরে তার জবানবন্দি অসমাপ্ত থাকায় আজ ফের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ এ মামলায় আসামি ১৬ জন। এর মধ্যে আটজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। তারা হলেন-ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আবদুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, এসআই শেখ আবজালুল হক ও কনস্টেবল মুকুল। সাক্ষ্য গ্রহণকে কেন্দ্র করে গতকাল তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আশুলিয়ায় নিহত আস সবুরের ভাই রেজওয়ানুল ইসলাম। ওই দিন নিহত সাজ্জাদ হোসেন সজলের বাবা মো. খলিলুর রহমানও সাক্ষ্য দেন। তার আগের দিন প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। চলতি বছরের ২১ আগস্ট এ মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।
প্রসিকিউশনের পক্ষে আজ শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে রয়েছেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, সাইমুম রেজা তালুকদারসহ অন্যরা।
ইনুর মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য ৭ ডিসেম্বর : জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলায় প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। পরে তাকে জেরা করেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। এরপর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।