প্লট জালিয়াতি মামলার রায় আজ। ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরিবারের সদস্যদের প্লট বরাদ্দে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চাপ দিয়েছিলেন টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক। মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ ১৭ জন আসামি।
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির তৎকালীন মন্ত্রী টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ-মা শেখ রেহানা, ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লট বরাদ্দে তিনি প্রভাব খাটিয়েছেন। দুদকের মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা নিজে ও পরিবারের সদস্যদের নামে প্লট নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল-এ খবর জানার পর টিউলিপ শেখ হাসিনা ও তার তৎকালীন একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে ফোন করে প্লট বরাদ্দের জন্য চাপ দেন। দুদকের প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান বলেন, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের ছয়জন জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও টিউলিপ নিজে প্লট নেননি, তবে বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর বিষয়টি সাক্ষ্যে উঠে এসেছে। প্রসিকিউশন সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তাদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন।