ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শনিবার রাতে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনাকে অনিচ্ছাকৃত বলে দাবি করা হয়েছে। নিহতের নাম শহিদুল ইসলাম শহিদ। তিনি চুয়াডাঙ্গা উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ বিএসএফের মাটিয়ারী সীমান্ত চৌকি (বিওপি) এলাকায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে গতকাল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, অনিচ্ছাকৃতভাবে আচমকা বন্দুকের ট্রিগারে চাপ পড়ে যায়। আর সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি চোরাকারবারির।
যদিও গুলিটি কারও দিকে লক্ষ্য করে মারা হয়নি। তবে দুর্ভাগ্যবশত ওই অস্ত্র থেকে নিক্ষেপিত গুলি গিয়ে লাগে বাংলাদেশি চোরাকারবারির শরীরে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ওই চোরাকারবারি। পরে তাকে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
বিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার আনুমানিক ৩টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ৩২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্ত বেড়ার কাছে ৬-৭ জন ভারতীয় চোরাকারবারিকে প্লাস্টিকের বান্ডিল বহন করতে দেখে। তারা বেড়ার ওপারে এই বান্ডিলগুলো ছুড়ে মারছিল, যেখানে অন্যদিকের বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা সেগুলো সংগ্রহ করছিল। জওয়ান তাদের থামতে সতর্ক করে এবং আকাশে এক রাউন্ড গুলি চালায়। কিন্তু তাতে কোনো ফল না হওয়ায় চোরাকারবারিদের আটকানোর উদ্দেশ্যে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা বিএসএফের এক জওয়ানকে দা দিয়ে আঘাত করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তখনই অনিচ্ছাকৃতভাবে জওয়ানের হাতে থাকা বন্দুকের ট্রিগারে চাপ পড়ে যায়। ফলে ওই অস্ত্র থেকে নিক্ষেপিত গুলি গিয়ে লাগে বাংলাদেশি চোরাকারবারির শরীরে। গুলির শব্দ শুনে এবং তাদের দলের একজনকে পড়ে যেতে দেখে অন্য চোরাকারবারিরা আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর বিএসএফের অন্য জওয়ানরা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি কাটার, চারটি ধারালো অস্ত্র (দা), ৯৬ বোতল ফেনসিডিল এবং দুই বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে।