কক্সবাজার ও বান্দরবানে দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫’-এর ৬৩৪ জনকে একযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল ইসলামকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নেয়ামুল হালিম খান নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ব্যাটালিয়নের সব স্তরের ৬৩৪ জনের বদলির আদেশ জারি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ শতাধিক র্যাব সদস্যকে প্রত্যাহার করে অন্যান্য ইউনিটে পাঠানো হয়েছে এবং ৩ শতাধিককে কক্সবাজার থেকে অন্যান্য ইউনিটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। র্যাব সদরদপ্তরের পাঁচটি পৃথক আদেশে এমন গণপ্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এটিকে নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ বলে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও অভিযোগ উঠেছে, ইয়াবাসংক্রান্ত অবৈধ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
র্যাব সদরদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কামরুল হাসান, কমান্ডার বিএনএর অনুমোদিত মেজর ফয়সাল আহমেদ (উপপরিচালক প্রশাসন) স্বাক্ষরিত গত ১৯ নভেম্বরের এক প্রজ্ঞাপনে ১৯৮ জন সদস্যকে এবং একই তারিখে আরেক প্রজ্ঞাপনে ২০০ জন সদস্যকে বদলি করা হয়।
গত ১২ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনে ৬২ জনকে বদলি করা হয়। ১৭ নভেম্বর মেজর ফয়সাল আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ১০০ সদস্যকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়। এ ছাড়া ২৭ নভেম্বর আরও ৭৪ জন র্যাব সদস্যকে বদলি করা হয়েছে।
কক্সবাজার র্যাবের সিও ক্লোজড ও সদস্য প্রত্যাহারের বিষয়ে র্যাব সদরদপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেকাব চৌধুরী বলেন, প্রত্যাহার করা কমান্ডিং অফিসার এক বছরের বেশি কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন। তাকে সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ৩ শতাধিক কর্মকর্তা ও সদস্যকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে- এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানা নেই, খোঁজ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে কর্মরত সব র্যাব সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়নি। বিষয়টি সদরদপ্তরের অপারেশন শাখা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
র্যাব সদস্যদের ইয়াবা ব্যবসাসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয়ে কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাব তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
এর আগে মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর ৫ শতাধিক পুলিশকে একযোগে বদলি করা হয়েছিল।