ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটার বাড়লেও গত নির্বাচনের চেয়ে কেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে ভোট গ্রহণে ধীরগতির আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। যদিও নির্বাচনের দিন গণভোটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রসংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যমতে আসন্ন নির্বাচনে চট্টগ্রাম জেলায় ভোটার ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫ জন, যা গত নির্বাচনের তুলনায় ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৮ জন বেশি। এসব ভোট গ্রহণের জন্য ১৬ আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৯৫০টি, যা দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় ৭৩টি কম। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ১২ হাজার ৫৪০টি, যা গত নির্বাচনের চেয়ে ১ হাজার ১৯২টি কম। তবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব কেন্দ্র ও কক্ষ নির্ধারণ হয়েছে ভোটের দিন গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তের আগে। এখন যেহেতু সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিন হতে যাচ্ছে তাই কেন্দ্র বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, ‘সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এবং কমিশনের নীতিমালার আলোকে কেন্দ্র ও কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গণভোটের কারণে কেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা বাড়তে পারে। কিন্তু কয়টি কেন্দ্র বাড়বে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা আগের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোতে ভোট গ্রহণের হার তুলনামূলক কম ছিল। এর পরও চট্টগ্রামের অনেক কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে ধীরগতি ছিল লক্ষণীয়। এবার ভোটার বাড়ায় কেন্দ্র ও কক্ষসংখ্যাও বাড়ানো প্রয়োজন। তবে এসব সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে নীতিমালার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
প্রস্তুত প্যানেল : কেন্দ্র ও কক্ষের পাশাপাশি ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতিতেও কাজ করছে নির্বাচন কার্যালয়। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভোট গ্রহণের জন্য ৪৩ হাজার ১০২ জন কর্মকর্তা লাগবে। সে হিসেবে ইতোমধ্যে ৪৫ হাজার কর্মকর্তার একটি তালিকা তৈরি করেছে নির্বাচন কার্যালয়। গণভোট কেন্দ্র করে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শিগগিরই তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ জানান, ‘প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিংসহ অন্যান্য পদে নিয়োগ দিতে ইতোমধ্যে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মিলিয়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনি তফসিলের পর এসব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁরা ভোট গ্রহণের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার বাইরে আরও ১০ শতাংশ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনের তাঁদেরও কাজে লাগানো যায়।’