চাঁদা না দেওয়ায় পটুয়াখালীতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা রাজীব হাওলাদারকে কাচের বোতল ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে দুমকী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম ওলি ও তার সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নতুন বাজারের জমজম রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রাজীবকে দুমকী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে বরিশাল হয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রাজীব আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাটরা গ্রামের আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ করায় রাজীবের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন জিএম ওলি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে জনতা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজীব জমজম রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। এ সময় জিএম ওলি ও তার সহযোগীরা রেস্টুরেন্টে ঢুকে রাজীবের মাথায় ইট ও কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করে। পরে বৈদ্যুতিক শক দিলে তিনি অচেতন হয়ে যান। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজীবকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাজীবের বাবা আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া এমন বর্বরোচিত হামলা হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’