সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারের অভ্যন্তরের কয়েকটি খেজুর গাছ নজর কাড়ত ভক্ত দর্শনার্থীদের। প্রায় ৪৫ বছর বয়সি খেজুর গাছগুলোর বেশির ভাগই কেটে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে মাজারে আসা ভক্তদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। গতকাল জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য দেখে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। অবশিষ্ট গাছগুলোর মধ্যে আরও তিনটি কেটে ফেলারও পরিকল্পনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৮০ সালের দিকে মাজার মসজিদের সামনে এসব খেজুর গাছ লাগানো হয়েছিল। ওইসব খেজুর গাছের নিচে রাতের বেলায় ভক্তরা অবস্থান করতেন। নামাজের সময় কর্তৃপক্ষ সেখানে আলাদা শামিয়ানা ও ত্রিপল টানিয়ে দিত। কিন্তু গাছগুলো কেটে ফেলায় মাজার ও মসজিদ আঙিনা অনেকটা শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে ৩৬০ আউলিয়া ভক্ত পরিষদের সভাপতি আবুল হোসেন জানান, মাজার প্রাঙ্গণে ঢুকতেই চিরচেনা খেজুর গাছগুলো চোখে পড়ত। সিলেটের পরিচয়, ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ ছিল গাছগুলো। সেখানে মসজিদ করা হলে আগের মতো খোলা মাঠ থাকবে না, ভক্তরাও বসতে পারবে না।
জানা গেছে, যে স্থানের গাছ কাটা হয়েছে, সেখানে অস্থায়ীভাবে আগে থেকেই নামাজ পড়া হতো। সেজন্য সেখানে শেডও করা হয়েছে। এখন সেই জায়গায় স্থায়ী মসজিদ করতে খেজুরসহ বেশ কয়েকটি পুরোনো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মাজার মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এম সোহেল উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কমিটির একাধিক বৈঠক হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকে মতামত দিয়েছেন। কিন্তু মসজিদ সম্প্রসারণ করতে গেলে গাছগুলো রক্ষা করা যাবে না।