জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাফাই সাক্ষী গ্রহণের আবেদন করেছেন শাহবাগ থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন। আইনজীবীর মাধ্যমে করা তার এই আবেদনের শুনানির জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে গতকাল। এর মধ্যে দিয়ে প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষী উপস্থাপন সমাপ্ত হয়েছে। পরে সাফাই সাক্ষীর আবেদন নিয়ে শুনানির জন্য সময় চান আরশাদের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন অভি। এরই মধ্যে তিনজন সাফাই সাক্ষীর নাম জমা দিয়েছেন তিনি। তবে তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে কি না তা জানা যাবে শুনানির পর। নয়তো মামলাটি যুক্তিতর্কের ধাপে এগোবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। সাফাই সাক্ষীর বিষয়ে আরশাদের আইনজীবী অভি বলেন, আমরা তিনজনের নাম জমা দিয়েছি। আমার ক্লায়েন্টের (আরশাদ) পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সময় চেয়েছি। এ নিয়ে আগামী রবিবার আমাদের কথা শুনবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলার গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
রামপুরার মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য ২ ডিসেম্বর : গণ অভ্যুত্থানে রাজধানীর রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুঁলে থাকা আমির হোসেনকে গুলি করাসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল এ মামলায় প্রসিকিউশনের ত্রয়োদশ সাক্ষী সিআইডির আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ গোলাম ইফতেখান আলমের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন ধার্য করেন। সাক্ষী গোলাম ইফতেখার তার জবানবন্দিতে এ মামলায় উদ্ধারকৃত আলামতের যাচাইবাছাইয়ের বর্ণনা দেন।
পরে তাকে জেরা করেন পলাতক চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন ও গ্রেপ্তার চঞ্চল চন্দ্র সরকারের আইনজীবী সারওয়ার জাহান।