ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ বলেছেন, এয়ারবাস কেনার প্রতিশ্রুতি থেকে বাংলাদেশ সরে এলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। ইউরোপের বাজারে শুল্কছাড়ের আলোচনার আবহও এয়ারবাস নিয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের কারণে বদলে যেতে পারে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। ব্যবসায় টেকসই সম্পর্ক খুব জরুরি। এয়ারবাস ক্রয়ের বিষয়টি অবশ্য বাংলাদেশের স্বাধীন সিদ্ধান্ত। কিন্তু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক জীবনে যেমন হয়, প্রতিটি সিদ্ধান্তেরই সামগ্রিক পরিবেশ ও মনোভাবের ওপর কিছু না কিছু প্রভাব পড়ে। আমরা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখব, কারণ এতে দুই পক্ষেরই স্বার্থ রয়েছে। তবে আপনি যদি জানতে চান যে এর কোনো প্রভাব পড়বে কি না- কিছুটা প্রভাব অবশ্যই পড়বে। রুডিগার লোটজ বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। আমরা সেটিরই প্রস্তুতি দেখতে পাচ্ছি। রাজনৈতিক দলগুলো যেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারেন, সহিংসতা থেকে বিরত থাকেন। ভোটাররা যেন ভয়মুক্ত পরিবেশে মতপ্রকাশ করতে পারেন এবং বিদেশে থাকা ভোটারদের অংশগ্রহণসহ ভোটের সঠিক গণনা হয়। আমরা এসবই দেখতে চাই। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভিসার বিষয়টি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। অনেক শিক্ষার্থী জার্মানিতে পড়তে যেতে চায়। আমরা চেষ্টা করছি, কীভাবে ভিসা দেওয়ার সময়টাকে কমিয়ে আনা যায়। তবে বাংলাদেশি ভিসা প্রার্থীদের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই। তারা আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিক। কেননা অনেকে জাল কাগজপত্র দেওয়ার ফলে তা যাচাইবাছাই করতে অনেক সময় লাগে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত। সিকিউরিটি সেক্টর, আইনের শাসন, শ্রম পরিবেশ, প্রশাসনিক কাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।