জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সময় ভারগো গার্মেন্টের কর্মকর্তা সোহান শাহ হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। তদন্ত কর্মকর্তার অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামসেদ আলম এ আদেশ দেন। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান। ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৩ এর এসআই মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দিয়ে বশির উদ্দীনের অব্যাহতি চান। তাতে বলা হয়, এ মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি শেখ বশির উদ্দীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
সাধারণত কোনো মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র বা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। তবে গত ১০ জুলাই অধ্যাদেশ হওয়া সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ (ক) ধারায় তদন্ত চলাকালে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছর ১৯ জুলাই রামপুরায় সিএনজি স্টেশনের সামনে গুলিতে আহত হন ৩০ বছর বয়সি সোহান শাহ। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোহানের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের নামে আদালতে মামলা করেন। এজাহারে ৪৯ নম্বর আসামি হিসেবে নাম আসে শেখ বশিরউদ্দীনের। তার পরিচয়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা। ঠিক তার আগের নামটি অর্থাৎ ৪৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে যশোর-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনকে। তাদের বাবা শেখ আকিজ উদ্দিন দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। তাদের দুজনের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে একই। তবে গতকাল অব্যাহতি পেয়েছেন শুধু বশির উদ্দীন।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপির ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরু, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খান দিলীপ, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখর।