চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চর ও পানগাঁও টার্মিনাল নিয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর আমতল মোড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘বন্দররক্ষা ও করিডোরবিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রাম’।
এতে বক্তারা বন্দর রক্ষায় শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (স্কপ) ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করে বলেন, দেশের সম্পদ চট্টগ্রাম বন্দর। তা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এখতিয়ার অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। জনমত উপেক্ষা করে গায়ের জোরে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সম্পদ নিয়ে যেভাবে ছিনিমিনি খেলছে, তা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের মতো রাজপথে নেমে তাদের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা ফজলুল কবির মিন্টু, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি টিকলু কুমার দে, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা সহসভাপতি রুপম কান্তি ধর, সাংস্কৃতিক সংগঠক শিমুল সেন, শ্রমিক নেতা আবু বকর সিদ্দিকী প্রমুখ।
এদিকে, বিদেশি অপারেটর ইস্যুতে আন্দোলনরত দুটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে গতকাল দুুপুরে বৈঠক করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর ভবনে বৈঠক শেষে বন্দর রক্ষাপরিষদ তাদের পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছে। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে তিন ঘণ্টা এ অবরোধ পালনের কথা ছিল। তবে অপর সংগঠন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) আগামী বুধবারের ঘোষিত অবরোধ বহাল রেখেছে।
বন্দর রক্ষাপরিষদের আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমী বলেন, এনসিটি ও সিসিটিতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কিছু করা হবে না বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এ কারণে পূর্বঘোষিত অবরোধ স্থগিত করেছি। আগামী দুই দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ কথা না রাখলে ফের দেওয়া হবে অবরোধ কর্মসূচি।