দেশের আইসিইউগুলোতে ৪১ শতাংশ জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিকে ধ্বংস হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে হাসপাতালের নমুনায় বহু-ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর হার ৪৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ দ্রুতই এক বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে, যেখানে সাধারণ সংক্রমণও মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলতে পারে। গতকাল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অডিটোরিয়ামে সেমিনারে এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন সংস্থাটির চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব।
তিনি বলেন, গুরুতর সংক্রমণে দায়ী প্রধান ব্যাকটেরিয়ার বড় অংশ এখন এমন প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করেছে যে চিকিৎসায় সর্বাধুনিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেও রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ছে। জাতীয় এএমআর সার্ভিল্যান্স ২০১৬ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। সর্বশেষ চক্রে (জুলাই ২০২৪-জুন ২০২৫) কেসভিত্তিক ও ল্যাবভিত্তিক নজরদারিতে সংগৃহীত ৯৬ হাজার ৪৭৭ রোগীর ক্লিনিক্যাল নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সব নমুনা মিলিয়ে গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার প্রাধান্য সবচেয়ে বেশি ৭৭ শতাংশ; গ্রাম পজিটিভ পাওয়া গেছে ২২ শতাংশ। শনাক্ত জীবাণুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ই-কোলি, ৩৫ শতাংশ। এরপর ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া ১৯.২ শতাংশ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক ডা. শাহ মনির হোসেন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) প্রফেসর ডা. আফরিনা মাহমুদ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হুসাইন মো. মইনুল, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ও আইটিএইচসির পরিচালক ডা. সৈয়দ কামরুল ইসলাম প্রমুখ।