নিখোঁজের ছয় বছর পর কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল আহাদের (৪৬) লাশ ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পকেটে থাকা ব্যাংক চেকের সূত্র ধরে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দাউদপুর গ্রামের ইমানী মিয়ার ছেলে। আহাদ সিলেটের একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে সিলেট, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কাস্টমস অডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের দাবি- ২০১৯ সালের ১ মে চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় তাঁকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিলেও তাঁকে আর ফেরত দেয়নি। দীর্ঘ ছয় বছর পরিবার তাঁর সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়। আহাদের বোন নাঈমা নাসরিন মণি জানান, ‘ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর বাবা-মা শোক সহ্য করতে না পেরে মারা যান। ছাগলনাইয়া থানার উপপরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ‘লাশে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ধারণা স্ট্রোক বা হঠাৎ শারীরিক জটিলতায় মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে।’ জানা গেছে, বুধবার সকালে ছাগলনাইয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে অচেতন অবস্থায় আহাদকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ লাশের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র যাচাইয়ের সময় উত্তরা ব্যাংক ফেনীর বিরিঞ্চি শাখার একটি চেক পায়। চেকের হিসাবধারীর নাম মিলিয়ে ব্যাংক থেকে নিশ্চিত করা হয় তাঁর পরিচয়।