কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া মেঘনা বাজারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে শিশুসহ ১২ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। আহতদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা গুরুতর আহত সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করেন। আহতরা হলেন হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫) ও সিরাজুল (১০)। হারুনের শরীর প্রায় ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ওইদিন বিকালে প্রতিদিনের মতো জহির মিয়া তার দোকানে নাশতা বিক্রি শেষ করে বের হয়ে যান। ভুলক্রমে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইস বন্ধ না করে দোকান তালা দিয়ে যান তিনি। বন্ধ দোকানে দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস বের হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দোকানে হঠাৎ আগুন লেগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দোকানের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের শরীরেও গ্যাসের আগুন লেগে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর জানান, অগ্নিদগ্ধ ১২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা খারাপ ছিল। হারুন নামের একজনের ৮০ ভাগ এবং অন্যদের শরীর ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা এই হাসপাতালে করা সম্ভব নয় বলে ঢাকায় প্রেরণ করেছি। অন্য পাঁচজনকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।