জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা স্বপ্ন দেখি একটা কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার, কল্যাণ মানে সবার জন্য কল্যাণ। অভিজাত শ্রেণিও এখান থেকে কল্যাণ লাভ করবে, আবার সমাজে যারা বঞ্চিত এবং পিছিয়ে পড়া তারাও কিন্তু এখান থেকে কল্যাণ পাবে।
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রাজধানীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের একটি বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যেখানে কল্যাণ রাষ্ট্র আছে, সেখানে এই ধরনের স্পেশাল নিড বেবির জন্য একজন মানুষকে তারা নিয়োগ দেয়, তার পুরো বেতন ভাতা, সুবিধাদি সব সরকার বহন করে। এ ব্যক্তিটা মাও হতে পারে, ওই সন্তানের বাবা কিংবা ভাইও হতে পারে। এ সময় জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের আহমেদ এবং খিলক্ষেত থানা আমির হাসনাইন আহমেদ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি প্রতিবন্ধী বলব না, আমি বলব ‘স্পেশাল নিড বেবিজ’- যাদের প্রতি সমাজের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই স্পেশাল নিড বেবিদের ব্যাপারে একজন মা বলেছেন, ‘আমার সমাজ তো আমাকে দেখেই একটু অন্যভাবে, স্বয়ং আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনও আমাকে ভিন্নভাবে দেখে।’ তিনি বলেন, আসলে এ গুলো আমাদের অজ্ঞতা, মূর্খতা। আমরা যদি অন্যভাবে দেখতাম, তাহলে দেখতাম যে এই মা বিশাল একটা সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের সবার উচিত তাকে ফুল সাপোর্ট দেওয়া। তিনি যাতে আরও সুন্দরভাবে ওই বেবিটাকে আদরে, যত্নে, ভালোবাসায় বড় করতে পারেন। এখানে সমাজের দায়িত্ব, সমাজের এই বাচ্চাদের বাছাই করে যার যেদিকে সম্ভাবনা আছে, তাকে সেইদিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। জামায়াত আমির সব নাগরিককে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সংবেদনশীল, দায়িত্বশীল ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এবং মানবিক সমাজ গঠনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোনোভাবেই সমাজের ওপর বোঝা নন। তারা আল্লাহ প্রদত্ত ভিন্নতর যোগ্যতা, বিশুদ্ধ হৃদয় ও অসীম সম্ভাবনার অধিকারী। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- যথাযথ সুযোগ, উপযোগী পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেলে তারাও সমাজের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা মানবিক দায়িত্ব, নৈতিক কর্তব্য এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ।