খুলনার আদালতপাড়ায় গুলি করে দুই যুবককে হত্যার ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত দুই পরিবারের কেউ মামলা করেনি।
পুলিশের দাবি, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তারা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া নিহত রাজনকে গত বছরের রমজান মাসে আরও একবার গুলি করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে আদালতপাড়ায় জোড়া খুনের ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জিন্নাহ পাড়া এলাকায় সম্রাট কাজী নামে এক যুবককে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি শিপইয়ার্ডের কর্মচারী বলে জানা গেছে। গুলিটি তার বাঁ হাতের কবজিতে লাগে। তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এর আগে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের কাছে ফজলে রাব্বী রাজন ও হাসিব হাওলাদার নামে দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তারা একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বের হচ্ছিলেন। রবিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল পূর্ব রূপসা দারুস সালাম জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বাদ আসর জানাজা শেষে মসজিদের কবরস্থানে রাজনকে দাফন করা হয়। অন্যদিকে নতুন বাজার চর জামে মসজিদে হাসিব হাওলাদারের জানাজা শেষে লবণচরা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
খুলনা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেউ থানায় মামলা করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।