পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার অনেক বড় বড় সংস্কার করছে অধ্যাদেশের মাধ্যমে, যেগুলোর পুরো ইমপ্লিকেশন সবাই এখনো বুঝে উঠতে পারছে না। অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিটি ছিল, সেসব প্রস্তাব আমরা এগিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমার নিজের ধারণা, আমরা হয়তো অনেক বেশি, কিছুটা উচ্চাভিলাষী সংস্কার করে ফেলেছি। যেগুলো নির্বাচিত সরকারের পক্ষে হজম করা বা সহ্য করা কঠিন হতে পারে। গতকাল পরিকল্পনা কমিশনে একনেক সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রকল্প বাদ দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক প্রকল্পে ত্রুটি থাকে, আবার অনেক সময় পত্রিকার রিপোর্টও পুরোপুরি ঠিক হয় না। আমরা সংবেদনশীল বলে আবার যাচাই করি।’
স্বাস্থ্যের প্রকল্পে কম্পিউটারের দাম বেশি দেখানো হয়েছে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা শুধু কম্পিউটার দামের হিসাব দেখেছেন, কিন্তু অটোমেশন খরচ ধরেননি। সব মিলিয়ে কস্টিংটা ভিন্ন।’
সরকারি ক্রয় নীতিমালা (পিপিআর) প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এটা। এখন এটা বইয়ের মতো বাজারে আছে, ডিজিটালাইজড সহজে বদলানো যাবে না। আশা করি এটি আইন হিসেবে টিকে যাবে।
বিচার বিভাগের সাম্প্রতিক সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার যেই অধ্যাদেশ হয়েছে, তা নতুন সরকার আবার দেখবে। কারণ এতে ম্যাজিস্ট্রেটরা কাকে জামিন দেবে বা অ্যারেস্ট করবে- এসব আর আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। কিছু ক্ষেত্রে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
তফসিল ঘোষণার পর একনেক সভা হওয়া নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নতুন প্রকল্প হোক বা চলমান প্রকল্প- সব চলবে।