গণভোটে কেমন প্রশ্ন থাকবে তা গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে ব্যালটে চারটি প্রশ্ন থাকবে বলে গতকাল ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গণভোটে ব্যালট পেপার যেমন থাকবে-আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন? (হ্যাঁ/না) :
(ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
(খ) আগামী জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
(গ) সংসদে নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধীদল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ তফসিলে বর্ণিত যে ৩০টি বিষয়ে জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য থাকবে।
(ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অপরাপর সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে জনগণের মতামত গ্রহণের জন্য গণভোটের ব্যালট পেপারে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ চারটি প্রস্তাব থাকবে। প্রশ্ন চারটি হলেও উত্তরের ঘর একটি থাকবে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, চারটি প্রশ্নের মধ্যে কোনোটি ‘হ্যাঁ’, আবার কোনোটিতে ‘না’ হলেও চার প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে অপশন শুধু ‘হ্যাঁ’ আর ‘না’। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখানে কোনো এক প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’, এক প্রশ্নের উত্তর ‘না’-এটার সুযোগ নাই।