রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জনি ভুঁইয়া নামের এক শুটারকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য উঠে এসেছে। শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য উন্মোচিত করা হবে। গতকাল এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান। এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর সি ব্লকের বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে ঢুকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে পালিয়ে যায় তিনজন দুর্বৃত্ত। পুলিশ বলছে, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দোকানের ভিতরে অবস্থানকালে মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা তার মাথা, বুক ও পিঠে টার্গেট করে সাত রাউন্ড গুলি করে। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুর্বৃত্তদের একজনের পরনে পাঞ্জাবি, একজনের গায়ে শার্ট ও আরেকজনের গায়ে শার্টের ওপর চাদর জড়ানো ছিল। প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখোশ পরিহিত ছিল। ঘটনার পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডিসি মাকছেদুর জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাত/আটজনকে আসামি করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্র জানায়, ছোটবেলা থেকে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করে আসছেন গোলাম কিবরিয়া। গতকাল বিকালে ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাজধানীর মিরপুরে জানাজার পর সেখানেই দাফন করা হয়।
এদিকে গোলাম কিবরিয়ার নিহতের ঘটনায় তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গোলাম কিবরিয়া মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ওলিপুর তালুকদার বাড়ির সন্তান।