প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
গতকাল নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক উপমন্ত্রী পাসকাল গ্রোটেনহুইস ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আগের স্বৈরাচার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি কারচুপির নির্বাচনে ভোট দিতে না পারা বিপুলসংখ্যক তরুণ এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এটা আমাদের সবার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যেসব তরুণ রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য শহরের দেয়ালচিত্রে আন্দোলনের চিত্র এঁকেছিলেন, এখন তারা ভোট দিতে আসবেন।’ বৈঠকে কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, যুব উন্নয়ন এবং তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। দুই নেতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়েও মতবিনিময় করেন।
নেদারল্যান্ডসের উপমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের অল্প কয়েক মাসের প্রস্তুতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের নির্বাচনি আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের নতুন শ্রম আইনের প্রশংসা করে বলেন, ‘এসব আইন বাংলাদেশে ডাচ্ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবে।’ তিনি জানান, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরিকল্পনা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই এ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে এবং এতে বাংলাদেশে ডাচ্ বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
পাসকাল গ্রোটেনহুইস আরও বলেন, ‘৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। এখন আমরা এ সম্পর্ক রাজনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অংশীদারিতে রূপান্তর করতে চাই।’ উপমন্ত্রী জানান, নেদারল্যান্ডসের যেসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে পণ্য আমদানি করছে, তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ও কার্যকর অংশীদার হতে আগ্রহী।