বলিউডের সিনেমায় কর্মঘণ্টা নিয়ে চলমান বিতর্কে এবার শামিল হয়েছেন নব্বই দশকের নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। অভিনেত্রী বলেছেন- কে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা প্রত্যেক শিল্পীর নিজের এখতিয়ারে থাকা উচিত।
এনডিটিভি লিখেছে- মাস দুয়েক আগে আট ঘণ্টার শুটিং শিফটের দাবি করে ‘পুরুষতান্ত্রিক সিনেমাদুনিয়া’কে নাড়িয়ে দেন এ সময়ে শীর্ষ পারিশ্রমিক নেওয়া নায়িকাদের একজন দীপিকা পাড়ুকোন।
চড়া পারিশ্রমিক ও কর্মঘণ্টা নিয়ে শর্ত বেঁধে দেওয়ার জেরে দুইটি সিনেমা থেকে বাদ পড়েন দীপিকা। এর মধ্যে একটি পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’; যেখানে দীপিকার বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণী নায়ক প্রভাস। আরেকটি হল নাগ অশ্বিনের ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি।
দীপিকার হাত থেকে সিনেমা চলে যাওয়ার ঘটনার পর দীর্ঘ কর্মঘণ্টা ও পারিশ্রমিক নিয়ে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কয়েক প্রজন্মের অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়েছে। কেউ দীপিকাকে সমর্থন করেছেন। কেউ বা সৃজনশীল কাজে বাঁধাধরা সময় রাখার বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
সেই আলোচনার সূত্র ধরে নিজস্ব মতামত জানিয়েছেন মাধুরী। মাধুরীকে দেখা যাবে নতুন সিরিজ ‘মিসেস দেশপাণ্ডে’। সিরিজের শুটিং অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মাধুরী বলেন, যখন আমরা ‘মিসেস দেশপাণ্ডে’ সিরিজে কাজ করেছি, আমাদের প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে হয়েছে। কখনও কখনও তারও বেশি। তাই প্রত্যেকের পছন্দই আলাদা।
মাধুরীর কথায়, কাজের ঘণ্টা ঠিক করার স্বাধীনতা ব্যক্তিগত হওয়া উচিত এবং কোনো অভিনেতাকে নির্দিষ্ট মানদণ্ডে বাধ্য করা উচিৎ নয়।
নায়িকাদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর জন্য সোচ্চার হয়েছেন মাধুরী। তিনি বলেন, শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, বেতন বৈষম্য প্রতিটা কর্পোরেট সেক্টরে দেখা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ