বেতন বৈষম্য নিরসন ও দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য ইউনিটে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচির কারণে হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে সেবা ব্যাহত হয়, ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
দীর্ঘদিন ধরে বেতন কাঠামোয় বৈষম্যের অভিযোগ তুলে কর্মবিরতিতে অংশ নেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অন্যান্য ডিপ্লোমাধারী কর্মকর্তারা যখন দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা পাচ্ছেন, সেখানে তাদের এখনো বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। দ্রুত দশম গ্রেড বাস্তবায়ন না হলে আগামীকাল থেকে সারাদিন কর্মবিরতি ও ‘শাটডাউন কর্মসূচি’র হুঁশিয়ারি দেন তারা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট মো. রফিকুর রহমান বলেন, ‘অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছি, কোনো ফল পাচ্ছি না। আমাদের দাবি ন্যায্য—সব ডিপ্লোমাধারী যখন দ্বিতীয় গ্রেড পাচ্ছেন, আমরা কেন বঞ্চিত হব? দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. শেখ তারেক বলেন, ‘দশম গ্রেড আমাদের অধিকার। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। আগামীকাল থেকে আমরা সারাদিন কর্মবিরতিতে থাকব।’
কর্মবিরতিতে হাসপাতালে ওষুধ নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ে। বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রোগী বাবলু বলেন, ‘চিকিৎসক ওষুধ লিখে দিলেও ফার্মেসিতে এসে দেখি কর্মবিরতি চলছে। তারা আন্দোলন করতেই পারে, কিন্তু আমাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হলো না কেন?’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, আন্দোলনের বিষয়ে গত ২৬ নভেম্বরই তাদের জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশেই অর্ধদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিনি বলেন, ‘ফার্মেসির সব কাজ ফার্মাসিস্টদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় রোগীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তাদের দাবি যৌক্তিক হওয়ায় সারাদেশব্যাপী আন্দোলন চলছে।’
বিডি-প্রতিদিন/সুজন