মেঘনার তীরবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরে পুরোদমে শুরু হয়েছে মিঠাপানির মাছ থেকে শুঁটকি উৎপাদন। এ কাজে মৌসুমের শুরুতে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে চড়া সুদে ঋণ নিচ্ছেন দাদন ব্যবসায়ী এবং এনজিও থেকে। প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি ব্যবসায় জমজমাট থাকে। লালপুর শুঁটকি পল্লী থেকে শত কোটি টাকার বেশি শুঁটকি মাছ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের লালপুরে মেঘনা পাড়ে স্থাপন করা হয়েছে সারি-সারি বাঁশের মাচা। এসব মাচায় মেঘনা ও হাওড় অঞ্চলে আহরণ করা মিঠাপানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হচ্ছে। এর মধ্যে পুঁটি, টেংরা, শোল, টাকি, চান্দা, আইড়, বাইম, বাতাসি, গনিয়া এবং ম্যানি মাছের শুঁটকি অন্যতম। এখানে তপ্ত রোদে শুকিয়ে মাছ শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। পচনরোধে কেমিক্যাল ব্যবহার না করে দেশীয় নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে বিক্রয়ের উপযোগী করে তোলা হয় শুঁটকি। তবে শুঁটকি উৎপাদন ও ব্যবসা অনেকটা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। কারণ মাচা তৈরি থেকে শুরু করে মাছ কেনা, শুকানো, দেশে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ এবং বিদেশে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর বিপুল অঙ্কের পুঁজি প্রয়োজন হয়। এই পুঁজি সংগ্রহ করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা দ্বারস্থ হচ্ছেন দাদন ব্যবসায়ী, এনজিওসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। লালপুরের শুঁটকি ব্যবসায়ী সত্য রঞ্জন দাস বলেন, এ অঞ্চলে অনেক ধরনের শুঁটকি উৎপাদন হয়। পুটি, টেংরা, শোল, টাকি, চান্দা, আইড়সহ অনেক মাছের শুঁটকি। এখানের শুঁটকি দেশের বিভিন্ন জেলা ও দেশের বাইরে পাঠানো হয়। এ কাজের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করতে কষ্ট হয়। ২০/৫০ লাখ টাকা সুদে এনে ব্যবসা করতে হয়। ব্যাংক থেকে কোনো সাহায্য পাই না। পবিত্র দাস নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা লোন নিয়ে সুদ দিয়ে কোনোভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুরে একটি শুঁটকি পল্লী রয়েছে। সেখানে শতাধিক শুঁটকি উৎপাদনকারী রয়েছে। গত অর্থবছরে ২০ জন উৎপাদনকারীকে এফইউয়ের অধীনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। লালপুরের শুঁটকি খুবই মানসম্মত। সেখানে কোনো বালাইনাশক ব্যবহার করা হয় না। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার শর্ত পূরণ উৎপাদনকারীদের জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউছুফ খান বলেন, কৃষি ব্যাংক থেকে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে। গতবারের মতো এবারও ঋণের ব্যাপারে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। ব্যবসায়ীদের তালিকা করে মেসেজ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে শুঁটকি পল্লী এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও লাগানো হবে।
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা
প্রকাশ:
০০:০০, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট:
০১:৫০, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
/
দেশগ্রাম
দাদনে জিম্মি শুঁটকি উৎপাদন
চড়া সুদে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে কার্যক্রম
মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর