বেনাপোল বন্দরে প্রায় দেড় মাস ধরে আটকে আছে ১৫০টি রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকা। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের মাননির্ণয় ও কৃত্রিম জটিলতার কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। আটকে থাকা ট্রাককে প্রতিদিন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা করে ডিটেনশন ফি। শুধু ট্রাকের ডেমারেজ বাবদ দেড় মাসে লোকসান হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। সংকট কাটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল বন্দরে সুপারিবাহী ট্রাকচালক মমিন জানান, দেড় মাস ধরে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষায় আছেন। তার মতো দেড় শতাধিক ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। ভারতের ব্যবসায়ীরা সুপারির বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট করে এসব ট্রাক দেরিতে নিচ্ছে অভিযোগ তোলেন তিনি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, সুপারি রপ্তানি নিয়ে যে জটিলতা হয়েছে তা অমূলক। নিরসনের জন্য দুই দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। ৫ আগস্টের পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য, গার্মেন্ট, তৈরি পোশাক, কাঠের আসবাবপত্র, ফলের জুসসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পণ্য সড়ক পথে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। রপ্তানিতে নতুন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে যেসব পণ্য রপ্তানি হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারি। গুণগত মান ভালো হওয়ায় ভারতে বেশ চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশের সুপারির। বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সুপারি রপ্তানি হয় দেশটিতে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রপ্তানি বাণিজ্যে আসে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। বর্তমানে বেনাপোল দিয়ে রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।